Thursday, March 23, 2017

কান্নাটা আমিও থামাতে পারি নি

কান্নাটা আমিও থামাতে পারি নি

ম্যাজিশিয়ান সাহিত্যের ছিন্ন পাতা.....
"কান্নাটা আমিও থামাতে পারি নি,,,,,"
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন.
'''''''''''''''''সেদিন দুপুরবেলা হাত মুখ ধুয়ে
খেতে যাব, হঠাৎ
কে যেন মৌবাইল রিংটা বাজিয়ে
দিল।
মানে মাথাটা খারাপ হয়ে
যাওয়ারি কথা।
কারণটা হল সে যে হউক না কেন,
খাওয়ার সময়
বিরক্ত করা এটা কারো ভাল না
লাগারি কথা!
যাজ্ঞে দেখি খোকা। প্রথম বার হয়ত
রিসিভ করি নি,
তবে শেষ বার রিসিভ করা মাত্র ওর
কথা শুরু
করার আগে বলে উঠি....
:ওরে খোকা! আর
সময়
পেলি না কল করার,মাত্র খেতে
বসেছি।
অপর দিক
দিক থেকে বলে উঠে...
:মা ওমা এখন একটু
মা বলে ডাকতে দাও না প্লিজ? তার
পর
হতে আর কখনো মা বলে হয়ত ডাকতে
পারব না।
:কেন কি হয়েছে?
: মা আগুন তো প্রায়
আমার
কাছে চলে এসেছে, আর হয়ত পাঁচটা
মিনিট আছি এই
পর্যন্ত মা একটু কথা বলতে দে এর পরে
তোর
বেশি কথা বলা ছেলেটা একদম
নিঃশব্দ হয়ে যাবে।
কি বলছিস বাবা এইসব তোর কি
হয়েছে?
মা,মাগো আমরা শেষ মা,নিচ তলায়
বিদুৎ
শর্টে পুরো বিল্ডিং এ আগুন লেগে
গেছে মা। নিচের
সবাই হয়ত চায় নইতো বা কয়লা হয়ে
গেছে আর
কয়েকটা মিনিট কয়েকটা সেকেন্ড
পরে মা তোর
খোকাকে পাবি তাদের মাঝে। ওমা
বাবাকে বল
না আমাকে নিতে আসতে,ওমা তুই আয়
না হাজার লোকের মাঝে তোকে এক
পলক যদি দেখি।
তবে আমার মন শান্তি পাবে।
আচ্ছা মা তোরা কি কয়লা থেকে
আমার
লাশটা শনাক্ত করতে পারবি,দেখ
মা আমি আমার গলায় যে তাবিজটা
ছিল
তা মুখের ভেতরে রাখব, তাই যদি
চিনতে পারিস
আমাকে আমাদের আম বাগানে করব
দিস
যেখানে বসে শুধু আম
খেয়ে খেয়ে সারা বেলা কাটাতাম
সেই ছোট কাল
থেকে।আচ্ছা মা সেই খানে গিয়ে
আমারে আগের
মত পিটিয়ে পিটিয়ে ভাত খেতে
আনবি তো? মা আর
কোন দিন তোর কথা না শুনে কোথাও
যাব না,
আচ্ছা মা তুই আজ আমাকে আসতে
মানা করিস
নাই কেন? প্রতি বার তো তোর কথা
না শুনে ছোট
ছোট বিপদে পড়ি তবে আজ কেন তোর
মানা অমান্য
করা ছাড়া বিপদে পড়লাম। ওমা দেখ
না আমাদের রুমের দরজা পর্যন্ত
এসে গেছে মা হয়ত আর কয়েকটা
সেকেন্ড
পরে আমার গায়ে আগুন লাগবে আর
আমি জলে পুরে মরব।মা দেখ তোর
ছেলে কতটা সাহসী হয়ে গেছে
দেখনা?
আগে যে ছেলে একটা মাইর খাওয়ার
ভয়ে পালাত সে আজ মৃত্যুকে সামনে
রেখে মরার
প্রস্তুতি নিচ্ছে।মা ওমা, বাবার
অফিসে খবরটা হয়ত এতক্ষনে চলে
গেছে আর
এতক্ষনে বাবাও নিশ্চয় চলে এসেছে।
আচ্ছা মা এক কাজ করনা তুই ও চলে আয়
না?
যদি শত মানুষের মাঝে তোকে এক পলক
দেখে নিতে পারি তবে আমার মরে
শান্তি লাগবে!
মাগো কি আসবি? মা ওমা! কি রেগে
গেলি নাকি?
কথা বলছিস না কেন ওমা একটু কথা বল
না,।
[অশ্রুঝরা ঝরতে থাকে আর মাকে করুণ
সুরে মাকে ডাকতে থাকে খোকা আর
সে কি জানত
তার মা বাকশক্তি হারিয়েছে তাই
তাকে উত্তর
দেওয়ার চেষ্টা করেও উত্তর দিতে
পারছেনা।]
কয়েকটা সেকেন্ড পরে খোকা
চিৎকার
করে বলে ওঠে মা আগুন আগুন
পোড়ে যাচ্ছি বলে মোবাইলটা পড়ে
যার আর সংযোগ
দেওয়া সম্ভব হয়নি।আর তখনি তার মাও
জ্ঞান
হারায়।আসলে আমারএই কল্পনার
কাহিনীটা আংশিক রুপক হলেও
পুরোটা বাস্তব
খন্ড চিত্র, এটি মূলত আশুলিয়ার
তাজনিন
ফ্যাশনের এক শ্রমিকের ঘটনা অবলম্বনে
লেখা।এই
ঘটনা সহ রানা প্লাজা ধসের মাঝে ও
বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারের একটা ব্রিগেড
ভেঙ্গে অনেক সাধারণ
মানুষ ও শ্রমিকের মৃত্যুতে যারা প্রান
হারিয়েছে তাদের
জন্যে সারা দেশবাসী গভীর ভাবে
শুকাহত।
হে বন্ধুরা আমি লাইক চাই না কমেন্ট চাই
না ইচ্ছা হলে দিও তবে একটু নিজ নিজ
টাইমলাইনে শেয়ার করে দেওয়ার অনুরোধ রইল।
-----------"ম্যাজিশিয়ান কাজী "

আমিও ভালবাসি তোমাকে

আমিও ভালবাসি তোমাকে_____
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন।
>>>>>>>সাথিকে খুব ভালবাসত নিরব।তাই তার আশে পাশে সব সময় ঘুরে বেড়াতো তবে তার সাথে কথা বলার সাহস তার নেই।সাথিও বুঝতে পারতো নিরবের সব ভালবাসার ব্যাখ্যা । কেননা তাদের মাঝে প্রায় সময় চোখাচোখি হত,মাঝে মাঝে নিরব সাথিকে দেখে হা করে দেখে থাকত।এই সবের মাঝে আস্তে আস্তে সাথিও নিরবকে ভালবেসে ফেলেছে।তাই তার কর্ম কান্ড দেখে মাঝে মধ্যে মুচকি হাসি উপহার দিত।তাদের এই হাসা হাসিতে কোন প্রকার বেজাল ছিল না।তাই এক দিন নিরব মনের জোর নিয়ে সাথির কাছে একটা চিটি লিখল,"যাতে লেখা ছিল আমি তোমাকে মন প্রাণ ভরে ভালবাসি এতে কোন সন্দেহ নেই আর তুমি যদি আমাকে ভালবাস আজকের মধ্যে এর উত্তরটা দাও।শুধু মুখে একবার হ্যা বললে হবে।কিন্ত প্রায় ২ ঘন্টা দুইজন দুইজনের দিকে চেয়েছিল।আর নিরব অনেক বার ওকে হ্যা কিংবা না কিছু বলার জন্যে বলেছে তবে সাথি কিছু বলে নি শুধু মুচকি মুচকি হেসে যাচ্ছে।তার পরে নিরব হতাস হয়ে মুচকি হাসিকে উপহাস সরুপ নিয়ে চলে গেল।পরে তাদের প্রায় ৭ টা দিন দেখা হল না। ঠিক সাত দিনের মাথায় সাথি খবর নিতে গেল নিরবের বাসায়, তবে সেখানে গিয়ে খবর পেল সাত দিন আগে.......
!
!
!
!
!
!
!
নিরব আত্মহত্যা করে মারা যাই। তখন কান্নার স্রোতধারা নিয়ে নিরবের কবরের পাশে গিয়ে একটা চিটি গুঁজে দেই যাতে লেখা ছিল,"সেদিন তুমি কি বলেছিলে তা আমি শুনি নি কারণ আমি কানে শুনি না আর তোমার চিটি পড়ে হ্যা কথাটি কোন কিছুতে বলতে পারি নি কারণ আমি বোবা ছিলাম। যাক ঘরে গিয়ে আমার সবচেয়ে পছন্দের ডায়েরীর পাতা ছিঁড়ে এই প্রথম তোমাকে একটা কথা জানাতে চাই আমিও ভালবাসি তোমাকে।"
:::::®সমাপ্ত®:::::

পুরাতন ফলক

ম্যাজিশিয়ান সাহিত্যের ছিন্ন পাতা....
,,,,,,,পুরাতন ফলক,,,,,,,,
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
>>>মাঝে মাঝে এমন কিছু কথা মনে পড়ে যায় যা নিজেকে আবারো ফিরিয়ে নিয়ে যায় অতীতের দিকে। আমাদের কোচিং-এ সবার প্রিয় বান্ধবী রিবা (নামের প্রতিচ্ছায়া)। সে খুব দুরন্তপনা ও লেখাপড়ায় ও মেধাবী ছিল। যার কারণে সবাই তার সাথে মজা করত,আর সেও সবার সাথে খুব হাসিখুশিতে মেতে থাকত প্রতিটি মুহুর্ত ।সে দিন খোকন কুমার স্যারের কোচিং এর কথা......
স্যার কোচিং এর পাঠ দানে রসায়ন বিজ্ঞানের অম্লতার পাঠ নেওয়ার প্রসঙ্গক্রমে বলেন,প্রতিটি এসিডের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ আছে।আর এই ছাড়া আরো অনেক কিছু প্রসংঙ্গ এনেছে।কিন্তু স্যারের কথার এই ফাকে রিবা বলে উঠল,আচ্ছা স্যার নাকের সর্দিও কি এসিড কারণ ওটার যে একটা স্বাদ আছে।চমকে গেল সবাই...... তার কথা শুনে আমি হঠাৎ মাঝখান থেকে বলে উঠলাম,কিরে দোস্ত তুই কি সর্দিকপ খেয়ে দেখেছিস নাকি!!!!
সেও হাসি মুখে বলে উঠল, কেন!!! আমরা সবাই খায় না???[সে ছোট বেলার কথাটা বুঝাতে চেয়েছে, কিন্তু তার এই কথাটা বুঝিয়ে দেওয়ার আগে ]......সবাই অট্টহাসি দিয়ে বলে উঠল, ছি ছি ছি আমরা এই সব খায় না!!!শুধু তুমি খাও যে।এই কথা শুনে সে খুব লজ্জা পেল,আর সবাই হো হো হো করে হাসতে লাগল।সবাইকে মজা দিতে গিয়ে রিবা নিজে লজ্জা পেলেও সবাই ঠিকই মজা পেয়েছ। তবে তার এই কথাটা মনে পড়েলে আজও আমার হাসি পায়।আর হাসতে হাসতে স্মৃতির পাতা হয়ত বন্ধ করে রাখি আর খুব মিস করি ফেলে আসা পুরাণ দিন গুলোকে।Miss U নলেজ সেন্টার ;