কান্নাটা আমিও থামাতে পারি নি
ম্যাজিশিয়ান সাহিত্যের ছিন্ন পাতা.....
"কান্নাটা আমিও থামাতে পারি নি,,,,,"
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন.
"কান্নাটা আমিও থামাতে পারি নি,,,,,"
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন.
'''''''''''''''''সেদিন দুপুরবেলা হাত মুখ ধুয়ে
খেতে যাব, হঠাৎ
কে যেন মৌবাইল রিংটা বাজিয়ে
দিল।
মানে মাথাটা খারাপ হয়ে
যাওয়ারি কথা।
কারণটা হল সে যে হউক না কেন,
খাওয়ার সময়
বিরক্ত করা এটা কারো ভাল না
লাগারি কথা!
যাজ্ঞে দেখি খোকা। প্রথম বার হয়ত
রিসিভ করি নি,
তবে শেষ বার রিসিভ করা মাত্র ওর
কথা শুরু
করার আগে বলে উঠি....
:ওরে খোকা! আর
সময়
পেলি না কল করার,মাত্র খেতে
বসেছি।
অপর দিক
দিক থেকে বলে উঠে...
:মা ওমা এখন একটু
মা বলে ডাকতে দাও না প্লিজ? তার
পর
হতে আর কখনো মা বলে হয়ত ডাকতে
পারব না।
:কেন কি হয়েছে?
: মা আগুন তো প্রায়
আমার
কাছে চলে এসেছে, আর হয়ত পাঁচটা
মিনিট আছি এই
পর্যন্ত মা একটু কথা বলতে দে এর পরে
তোর
বেশি কথা বলা ছেলেটা একদম
নিঃশব্দ হয়ে যাবে।
কি বলছিস বাবা এইসব তোর কি
হয়েছে?
মা,মাগো আমরা শেষ মা,নিচ তলায়
বিদুৎ
শর্টে পুরো বিল্ডিং এ আগুন লেগে
গেছে মা। নিচের
সবাই হয়ত চায় নইতো বা কয়লা হয়ে
গেছে আর
কয়েকটা মিনিট কয়েকটা সেকেন্ড
পরে মা তোর
খোকাকে পাবি তাদের মাঝে। ওমা
বাবাকে বল
না আমাকে নিতে আসতে,ওমা তুই আয়
না হাজার লোকের মাঝে তোকে এক
পলক যদি দেখি।
তবে আমার মন শান্তি পাবে।
আচ্ছা মা তোরা কি কয়লা থেকে
আমার
লাশটা শনাক্ত করতে পারবি,দেখ
মা আমি আমার গলায় যে তাবিজটা
ছিল
তা মুখের ভেতরে রাখব, তাই যদি
চিনতে পারিস
আমাকে আমাদের আম বাগানে করব
দিস
যেখানে বসে শুধু আম
খেয়ে খেয়ে সারা বেলা কাটাতাম
সেই ছোট কাল
থেকে।আচ্ছা মা সেই খানে গিয়ে
আমারে আগের
মত পিটিয়ে পিটিয়ে ভাত খেতে
আনবি তো? মা আর
কোন দিন তোর কথা না শুনে কোথাও
যাব না,
আচ্ছা মা তুই আজ আমাকে আসতে
মানা করিস
নাই কেন? প্রতি বার তো তোর কথা
না শুনে ছোট
ছোট বিপদে পড়ি তবে আজ কেন তোর
মানা অমান্য
করা ছাড়া বিপদে পড়লাম। ওমা দেখ
না আমাদের রুমের দরজা পর্যন্ত
এসে গেছে মা হয়ত আর কয়েকটা
সেকেন্ড
পরে আমার গায়ে আগুন লাগবে আর
আমি জলে পুরে মরব।মা দেখ তোর
ছেলে কতটা সাহসী হয়ে গেছে
দেখনা?
আগে যে ছেলে একটা মাইর খাওয়ার
ভয়ে পালাত সে আজ মৃত্যুকে সামনে
রেখে মরার
প্রস্তুতি নিচ্ছে।মা ওমা, বাবার
অফিসে খবরটা হয়ত এতক্ষনে চলে
গেছে আর
এতক্ষনে বাবাও নিশ্চয় চলে এসেছে।
আচ্ছা মা এক কাজ করনা তুই ও চলে আয়
না?
যদি শত মানুষের মাঝে তোকে এক পলক
দেখে নিতে পারি তবে আমার মরে
শান্তি লাগবে!
মাগো কি আসবি? মা ওমা! কি রেগে
গেলি নাকি?
কথা বলছিস না কেন ওমা একটু কথা বল
না,।
[অশ্রুঝরা ঝরতে থাকে আর মাকে করুণ
সুরে মাকে ডাকতে থাকে খোকা আর
সে কি জানত
তার মা বাকশক্তি হারিয়েছে তাই
তাকে উত্তর
দেওয়ার চেষ্টা করেও উত্তর দিতে
পারছেনা।]
কয়েকটা সেকেন্ড পরে খোকা
চিৎকার
করে বলে ওঠে মা আগুন আগুন
পোড়ে যাচ্ছি বলে মোবাইলটা পড়ে
যার আর সংযোগ
দেওয়া সম্ভব হয়নি।আর তখনি তার মাও
জ্ঞান
হারায়।আসলে আমারএই কল্পনার
কাহিনীটা আংশিক রুপক হলেও
পুরোটা বাস্তব
খন্ড চিত্র, এটি মূলত আশুলিয়ার
তাজনিন
ফ্যাশনের এক শ্রমিকের ঘটনা অবলম্বনে
লেখা।এই
ঘটনা সহ রানা প্লাজা ধসের মাঝে ও
বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারের একটা ব্রিগেড
ভেঙ্গে অনেক সাধারণ
মানুষ ও শ্রমিকের মৃত্যুতে যারা প্রান
হারিয়েছে তাদের
জন্যে সারা দেশবাসী গভীর ভাবে
শুকাহত।
হে বন্ধুরা আমি লাইক চাই না কমেন্ট চাই
না ইচ্ছা হলে দিও তবে একটু নিজ নিজ
টাইমলাইনে শেয়ার করে দেওয়ার অনুরোধ রইল।
-----------"ম্যাজিশিয়ান কাজী "
খেতে যাব, হঠাৎ
কে যেন মৌবাইল রিংটা বাজিয়ে
দিল।
মানে মাথাটা খারাপ হয়ে
যাওয়ারি কথা।
কারণটা হল সে যে হউক না কেন,
খাওয়ার সময়
বিরক্ত করা এটা কারো ভাল না
লাগারি কথা!
যাজ্ঞে দেখি খোকা। প্রথম বার হয়ত
রিসিভ করি নি,
তবে শেষ বার রিসিভ করা মাত্র ওর
কথা শুরু
করার আগে বলে উঠি....
:ওরে খোকা! আর
সময়
পেলি না কল করার,মাত্র খেতে
বসেছি।
অপর দিক
দিক থেকে বলে উঠে...
:মা ওমা এখন একটু
মা বলে ডাকতে দাও না প্লিজ? তার
পর
হতে আর কখনো মা বলে হয়ত ডাকতে
পারব না।
:কেন কি হয়েছে?
: মা আগুন তো প্রায়
আমার
কাছে চলে এসেছে, আর হয়ত পাঁচটা
মিনিট আছি এই
পর্যন্ত মা একটু কথা বলতে দে এর পরে
তোর
বেশি কথা বলা ছেলেটা একদম
নিঃশব্দ হয়ে যাবে।
কি বলছিস বাবা এইসব তোর কি
হয়েছে?
মা,মাগো আমরা শেষ মা,নিচ তলায়
বিদুৎ
শর্টে পুরো বিল্ডিং এ আগুন লেগে
গেছে মা। নিচের
সবাই হয়ত চায় নইতো বা কয়লা হয়ে
গেছে আর
কয়েকটা মিনিট কয়েকটা সেকেন্ড
পরে মা তোর
খোকাকে পাবি তাদের মাঝে। ওমা
বাবাকে বল
না আমাকে নিতে আসতে,ওমা তুই আয়
না হাজার লোকের মাঝে তোকে এক
পলক যদি দেখি।
তবে আমার মন শান্তি পাবে।
আচ্ছা মা তোরা কি কয়লা থেকে
আমার
লাশটা শনাক্ত করতে পারবি,দেখ
মা আমি আমার গলায় যে তাবিজটা
ছিল
তা মুখের ভেতরে রাখব, তাই যদি
চিনতে পারিস
আমাকে আমাদের আম বাগানে করব
দিস
যেখানে বসে শুধু আম
খেয়ে খেয়ে সারা বেলা কাটাতাম
সেই ছোট কাল
থেকে।আচ্ছা মা সেই খানে গিয়ে
আমারে আগের
মত পিটিয়ে পিটিয়ে ভাত খেতে
আনবি তো? মা আর
কোন দিন তোর কথা না শুনে কোথাও
যাব না,
আচ্ছা মা তুই আজ আমাকে আসতে
মানা করিস
নাই কেন? প্রতি বার তো তোর কথা
না শুনে ছোট
ছোট বিপদে পড়ি তবে আজ কেন তোর
মানা অমান্য
করা ছাড়া বিপদে পড়লাম। ওমা দেখ
না আমাদের রুমের দরজা পর্যন্ত
এসে গেছে মা হয়ত আর কয়েকটা
সেকেন্ড
পরে আমার গায়ে আগুন লাগবে আর
আমি জলে পুরে মরব।মা দেখ তোর
ছেলে কতটা সাহসী হয়ে গেছে
দেখনা?
আগে যে ছেলে একটা মাইর খাওয়ার
ভয়ে পালাত সে আজ মৃত্যুকে সামনে
রেখে মরার
প্রস্তুতি নিচ্ছে।মা ওমা, বাবার
অফিসে খবরটা হয়ত এতক্ষনে চলে
গেছে আর
এতক্ষনে বাবাও নিশ্চয় চলে এসেছে।
আচ্ছা মা এক কাজ করনা তুই ও চলে আয়
না?
যদি শত মানুষের মাঝে তোকে এক পলক
দেখে নিতে পারি তবে আমার মরে
শান্তি লাগবে!
মাগো কি আসবি? মা ওমা! কি রেগে
গেলি নাকি?
কথা বলছিস না কেন ওমা একটু কথা বল
না,।
[অশ্রুঝরা ঝরতে থাকে আর মাকে করুণ
সুরে মাকে ডাকতে থাকে খোকা আর
সে কি জানত
তার মা বাকশক্তি হারিয়েছে তাই
তাকে উত্তর
দেওয়ার চেষ্টা করেও উত্তর দিতে
পারছেনা।]
কয়েকটা সেকেন্ড পরে খোকা
চিৎকার
করে বলে ওঠে মা আগুন আগুন
পোড়ে যাচ্ছি বলে মোবাইলটা পড়ে
যার আর সংযোগ
দেওয়া সম্ভব হয়নি।আর তখনি তার মাও
জ্ঞান
হারায়।আসলে আমারএই কল্পনার
কাহিনীটা আংশিক রুপক হলেও
পুরোটা বাস্তব
খন্ড চিত্র, এটি মূলত আশুলিয়ার
তাজনিন
ফ্যাশনের এক শ্রমিকের ঘটনা অবলম্বনে
লেখা।এই
ঘটনা সহ রানা প্লাজা ধসের মাঝে ও
বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারের একটা ব্রিগেড
ভেঙ্গে অনেক সাধারণ
মানুষ ও শ্রমিকের মৃত্যুতে যারা প্রান
হারিয়েছে তাদের
জন্যে সারা দেশবাসী গভীর ভাবে
শুকাহত।
হে বন্ধুরা আমি লাইক চাই না কমেন্ট চাই
না ইচ্ছা হলে দিও তবে একটু নিজ নিজ
টাইমলাইনে শেয়ার করে দেওয়ার অনুরোধ রইল।
-----------"ম্যাজিশিয়ান কাজী "